একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়ের প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরাম। তবে রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে সার্চ কমিটি গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়েছেন নেতারা।
রোববার সন্ধ্যা ৬টায় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। তবে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সংলাপে অংশ নেননি।
সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, গণফোরাম নেতৃবৃন্দ সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নসহ কয়েক দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
সংলাপ থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের গণফোরাম নেতৃবৃন্দ বলেন,, জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য দরকার স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন।
তারা আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন ফলপ্রসূ হবে।
ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন এখন একটি গণদাবি উল্লেখ করে গণফোরামের প্রতিনিধি দল বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সরকার নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করবে।
তারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেন।
গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। এ পর্যন্ত মোট নয়টি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামীকাল ৩ জানুয়ারি সংলাপে যোগ দিবে গণতন্ত্রী পার্টি সন্ধ্যা ছয়টায়, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সন্ধ্যা সাতটায় এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
৪ জানুয়ারি সংলাপ হবে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সন্ধ্যা সাতটায়। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা হবে জাতীয় পার্টি (জেপি) এর সাথে সংলাপ এবং সন্ধ্যা সাতটায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সাথে।৪ জানুয়ারি সংলাপ হবে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সন্ধ্যা সাতটায়। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা হবে জাতীয় পার্টি (জেপি) এর সাথে সংলাপ এবং সন্ধ্যা সাতটায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সাথে।
৬ জানুয়ারি গণফ্রন্টের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির্র (এলডিপি) সাথে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপের কথা রয়েছে।
এদিকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাথে আলোচনা হবে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায়।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।