দ্বিতীয় দফায় মুজিব বর্ষের সময় বাড়ানো হলো। এবার ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও মুজিব শতবর্ষ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সদস্য কেএম খালিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ রোববার রাজধানীর গণগ্রন্থাগারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলায় এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
চার দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ শেষ দিন ছিল আজ। মেলার স্টল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কেএম খালিদ মুজিব বর্ষের সময় বাড়ানোর কথা জানান।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে মুজিব বর্ষের জন্য নেওয়া কর্মসূচিগুলো নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সরকার মুজিব বর্ষের সময় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করে। এবার সেটি আরও সাড়ে তিন মাস বাড়ানো হলো।
বইমেলা পরিদর্শন শেষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণগ্রন্থাগারকে নতুনভাবে সাজানোর লক্ষ্যে এ ভবন (গণগ্রন্থাগার) ভেঙে নতুনভাবে তৈরি করা হবে। সে লক্ষ্যে আমরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করব। পাশাপাশি এখানকার সমস্ত আসবাবপত্র ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্থানান্তর করব।’
এ সময় ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা’ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার দেওয়া। গণগ্রন্থাগারের কবি সুফিয়া কামাল হল মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় এতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রমুখ।
গত ৩০ ডিসেম্বর এ বইমেলা শুরু হয়। আজ বিকেলে পাঁচটি স্টলের বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা বলেন, আজ সারা দিন একটা বইও বিক্রি করতে পারেননি তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, চার দিনে দুই হাজার টাকার বই বিক্রি করেছেন তিনি।
উত্তরণ প্রকাশনীর বিক্রেতা মো. হাবিবুল বশর পিয়াস বলেন, ‘চারুকলা ইনস্টিটিউটে জয়নুল উৎসব চলছে তিন দিন ধরে। উৎসবে আসা মানুষ পাশাপাশি এখানেও আসতেন। তবে তেমন কেউ বই কিনতেন না। ছবি, সেলফি তুলে চলে যান, কেউ বই কিনে না। বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে।’