কক্সবাজারে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবুল মনসুর ছিদ্দিকী আসামির রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে তাঁকে সাতদিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ মামলার বাকি পাঁচ আসামির রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। এ ছাড়া মামলার দুই নম্বর আসামি মেহেদী হাসান বাবুকেও সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর শহরের কবিতা চত্বর রোডসংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলে। দ্বিতীয় দফায় সেখানেও তিনি ধর্ষণের শিকার হন।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুই-তিন জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
মামলার আসামি হলেন—শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। মামলায় এখন পর্যন্ত মোট সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রধান আসামি আশিককে গত ২৬ ডিসেম্বর মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যামব। পরে তাকে ঢাকায় আদালতে তোলা হয়।