জানুয়ারিতেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ১০টি গ্রহাণু (‘অ্যাস্টারয়েড’)। তাদের মধ্যে কম করে তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এসে পড়বে এই সপ্তাহেই। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর পর তিন দিনে। সোমবার নাসা এই খবর দিয়েছে।
বুধবার যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে তা এই গ্রহের কাছাকাছি এসেছিল ১০০ বছর আগে ১৯২৩ সালে। এরা সকলেই আসছে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি থেকে। নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুগুলির কোনওটিই গ্রহাণুদের আদত ঠিকানা মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ (‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’) থেকে আসছে না।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাই এই ধরনের গ্রহাণুগুলিকে ডাকেন ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস্’ (এনইও) নামে। এদের সংখ্যা অগণন। নাসা এখনও পর্যন্ত এমন ২৬ হাজার এনইও-র হদিস পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১ হাজারটি আগামী দিনে পৃথিবীর পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে নাসার তরফে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মোট ৬টি গ্রহাণু ধেয়ে এসেছিল পৃথিবীর দিকে। তবে তার কোনটি এই গ্রহের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও বাকিগুলি পৃথিবীর কিছুটা দূর দিয়েই চলে যায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে।
বুধবার থেকে পর পর তিন দিনে যে তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়টি আসছে বুধবারই। গ্রহাণুটির নাম ‘২২০২১ওয়াইকিউ’। এটি চওড়ায় ৪৯ থেকে ১১০ মিটার।
বুধবারই এটি সবচেয়ে কাছে আসবে পৃথিবীর ১০০ বছর পর। এর আগে ১৯২৩ সালে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল। বুধবার পৃথিবীর কাছে আসার সময় এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৮৪৮ কিলোমিটার।
ঘণ্টায় ২২ হাজার ৯৩২ কিলোমিটার গতিবেগে বৃহস্পতিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে আরও একটি গ্রহাণু ‘২০১৪ওয়াইই১৫’। এটি চওড়ায় সাড়ে ৫ থেকে ১৩ মিটার। এটি আবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে ২০২৪ সালে।