কুড়িগ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের নাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। সদরের সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. নার্গিস ফাতিমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেছে একই স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শাখার সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান। ঘটনার পর আহত প্রধান শিক্ষক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম জানান, স্থানীয় বাসিন্দা এবং যুবলীগ কর্মী পরিচয়ে অভিযুক্ত উক্ত সহকারি শিক্ষক আগে থেকে উগ্র আচরণ করতেন। সোমবারও তার সাথে ওই শিক্ষকের বিতণ্ডা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় প্রধান শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার পর তিনি স্কুল কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে ডেকে নেন। এর কিছুক্ষণ পর প্রাক-প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে হঠাৎ করে প্রধান শিক্ষকের গলা চেপে ধরেন এবং উপর্যুপরি ঘুষি দিতে থাকেন। এতে প্রধান শিক্ষকের বাম চোখের পাশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। আকস্মিক এ হামলায় উপস্থিত স্কুল কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম এগিয়ে এসে শিক্ষক মাহবুবকে জাপটে ধরে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করেন।
পরে অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আহত প্রধান শিক্ষক আরও জানান, ‘আমি আতঙ্কিত, আমার নিজের এবং অন্যান্য সহকারি শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমি এ ঘটনার আইনগত বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে সহকারি শিক্ষক মাহবুবর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা করা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৈফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।