দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ হারানোর পর এবার তৈমুর আলম খন্দকারকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের দফতরের দায়িত্বে থাকা সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তিনটি পদ থেকেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকেও সরিয়ে নেয়া হয় তৈমুর আলমকে।
সোমবার দুপুরে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি তাকে পাঠানো হয়েছে। তবে সে চিঠিতে কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৈমুর আলম খন্দকার দলের সিদ্ধান্ত মানেন নি তাই এ সিদ্ধান্ত। কারণ বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে স্থানীয় ও জাতীয় কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটিতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকেও সরানো হয়েছিল তৈমুরকে। যদিও দলের প্রাথমিক সদস্য পদে তিনি বহাল আছেন।
২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের পর তৈমুর আলম খন্দকারকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়। এ পদ থেকে তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেয়া হলো আজ।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।সেই প্রসঙ্গ টেনে তৈমুর বলেন, ২০১১ সালে ভোটের পাঁচ ঘণ্টা আগে দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে বসে পড়ি। কিন্তু দলকে আজ পর্যন্ত প্রশ্ন করি নাই, কেন আমাকে সরিয়ে দেয়া হল। কেন আমাকে প্রত্যাহার করা হল, এখানে রেজাল্টটা কী হয়েছে, জাতি কোনো উপকৃত হয়েছে কি না। তবে সরকারদলীয় প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।