নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের চাপায় যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনার পাঁচদিন পর নিখোঁজ মা-মেয়েসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (০৯ জানুয়ারি) সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূর থেকে দুটি এবং বক্তাবলী এলাকা থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে দুটির পরিচয় জানা গেছে, একজন হলেন মা জেসমিন ও মেয়ে তাসনিম। বাকি দুটি লাশের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
এর আগে গত বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে ট্রলারডুবির এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, অন্য নিখোঁজদের খোঁজে আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে। যতক্ষণ ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া না যাবে ততক্ষণ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় ওই রাতেই নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদি হয়ে লঞ্চ এমভি ফারহান-৬ এর মাস্টার, চালক ও সুকানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
এ দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ঢাকাগামী এমভি ফারহান-৬ নামে লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে এসে ৪০/৫০ যাত্রীসহ খেয়া পারাপারের একটি ট্রলারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ হয়।