এবার অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহার এবং করোনাবিধি ভঙ্গের অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু’চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (১০ জানুয়ারি) জান্তা সরকার শাসিত একটি আদালত এই সাজা ঘোষণা করেন।
এর আগে, গেল ডিসেম্বরে জান্তাবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি এবং করোনাবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সু’চিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির সামরিক আদালত। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সু চি।
আদালতের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহারের দায়ে দুই বছর এবং করোনাবিধি ভঙ্গের দায়ে তাকে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে বরাবরের মতোই নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনএলডি নেত্রী সু’চি। তার আইনজীবী ও সমর্থকরা জানান, তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এবং তার রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতেই তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবেতর জীবন
এর আগে গেল ৬ ডিসেম্বর মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী আন্দোলনে উস্কানি দেয়া এবং করোনাবিধি ভঙ্গের অভিযোগে দুটি মামলায় ৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। যদিও, পরে সাজা কমিয়ে ২ বছর করা হয়।
গেল বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গ্রেফতারের পর ৭৬ বছর বয়সী এই এনএলডি নেতার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় এক ডজন মামলা হয়েছে। এগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে, সর্বোচ্চ একশ বছরের জেল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সু’চির