আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেক মানুষ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হা।
এছাড়াও, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি। মঙ্গলবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইউরোপে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দিশেহারা ইউরোপবাসী। এমন পরিস্থিতিতেই নতুন আশঙ্কার কথা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্হা।
ইউরোপে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দিশেহারা ইউরোপবাসী। এমন পরিস্থিতিতেই নতুন আশঙ্কার কথা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশের বেশি ইউরোপীয় নাগরিক করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে হু। এমনকি যারা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং টিকা নিয়েছেন তাদের মাঝেও ওমিক্রন ছড়াতে পারে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে।
হু’র পরিচালক হ্যানস ক্লাগ বলেন, আমরা দেখেছি, আগের যেকোনো ধরনের চেয়ে ওমিক্রন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে এরইমধ্যে ধরনটি ছড়িয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিনের মধ্যেই ইউরোপের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠবে।
সম্প্রতি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইন্সটিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ইউরোপে সত্তর লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে এবং দুই সপ্তাহ নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ওই একই সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
হ্যানস ক্লাগ বলেন, প্রতি সপ্তাহে ইউরোপের ২৬টি দেশের অন্তত এক শতাংশের বেশি মানুষ কভিড-উনিশে আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার উচ্চ সংক্রমনের তালিকায় থাকা দেশের পাশাপাশি কম টিকা প্রদানকারী দেশগুলোতে মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরাবরের মতো টিকা কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্মেলনে দরিদ্র দেশগুলোকে টিকা সহায়তায় ধনী দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।