মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন চাঁদাবাজি মামলায় আট দিন ধরে জেলা কারাগারে থাকলেও জানেন না উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে ফারুক হোসেনের কারাগারে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা কারাগারের জেলার শঙ্কর কুমার মজুমদার।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের ইটখোলা বাজিতপুর গ্রামের আজহার মোড়লের ছেলে শিক্ষক ফারুক হোসেন। তিনি ধুরাইল কপালিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ফারুকসহ ছয় জনের নামে একই এলাকার আবদুল কুদ্দুস মোড়ল বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়ালম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত মমলাটির তদন্তভার প্রদান করেন গোপালগঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেনশ (পিবিআই) এর নিকট। পিবিআই তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েআদালতে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার আসামিরা জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ প্রদান করেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আসামিরা ৪ জানুয়ারি মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পন এবং জামিনের আবেদন করেন। মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা দুইজন ফারুক মোড়ল ওরফেফারুক হোসেন এবং ফরিদ মোড়লকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শিক্ষক ফারুক হোসেন আট দিন ধরে কারাগারে থাকলেও বিষয়টি জানে না সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।