সরকার আগামী ৬ বছরের মধ্যে ২ হাজার ৮৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি বছর ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ২ হাজার ৮৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছরের মধ্যে ৫৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে যোগ হবে ৯২৩ মেগাওয়াট, ২০২৪ সালে ৬০৩ মেগাওয়াট, ২০২৫ সালে ২০০ মেগাওয়াট, ২০২৬ সালে ৫০২ মেগাওয়াট এবং ২০২৭ সালে ১০২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে।

এ দিকে বিদ্যুৎ সেল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সময় উপযোগী উদ্যোগে বিদ্যুৎ খাত সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে।

বিগত ১৩ বছরে সারাদেশে ৩ কোটি ১০ লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৩ লাখ ৫৭ হাজার কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন এবং ৫ হাজার ১১ সাকির্ট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হত ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমানে দেশের ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ লোক বিদ্যুতের আওতায় এসেছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত ১৩ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১২১টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করেছি মন্তব্য করে নসরুল হামিদ বলেছেন, এ সকল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ২০ হাজার ৩৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার প্রত্যাশা করছে। এর আগে সরকার ২৪ হাজার মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার ২৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়ন করেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, মাতার বাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে মহেশখালি এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির নিমার্ণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং পর্যায়ক্রমে আরও ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী।