করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনকারী ভারতীয় ট্রাক চালক ও ভারত থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।
তবে বন্দরে সুরক্ষা ব্যবস্থা আগের চেয়ে জোরদার করা হলেও বন্দরের বাইরে প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় মাস্ক ছাড়া ও ধারণ ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে অনেককে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে নতুন নির্দেশনায় তদারকি শুরু করে বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে সরকার গত ১০ জানুয়ারি ১১টি নির্দেশনা দিয়ে ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল বন্দরে।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় ট্রাক চালকরা আগে একটি ট্রাক নিয়ে দুইজন বন্দরে আসতে পারলেও এখন একজন আসার সুযোগ পাচ্ছেন। ভারত থেকে আসা দেশ-বিদেশি যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ ও টিকা গ্রহণের কার্ড দেখানোর পর বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি মিলছে।
এদিকে বন্দরের বাইরে দিনভর দেখা মেলেনি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করনে প্রশাসনের কোন তদারকি। ফলে মাস্ক ছাড়ায় চলাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককে। পরিবহনে যথাযথ নিয়ম মানেনি অনেকে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মো. রাজু জানান, ওমিক্রন রোধে সরকারের সকল নির্দেশনা কার্যকর করতে স্বাস্থ্য বিভাগকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসায় ভারত যাতায়াত হচ্ছে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত। বর্তমানে ভারতে যেতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ সনদ লাগছে। ভারত থেকে ফেরার সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ সনদ ও করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণের সনদ আনতে হবে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভারতে আবারও বাড়ছে করোনার ধরন ওমিক্রনের বিস্তার। এতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করছে। ভারত থেকে একজন চালক বন্দরে ট্রাক নিয়ে প্রবেশ করছে। বন্দরে বাইরে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আজিম উদ্দিন জানান, নতুন নির্দেশনায় ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় করোনা টিকার দুই ডোজ আছে কিনা সেটি যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া সকল যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও সন্দেহজনক করোনার র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারত ছাড়া অন্য ওমিক্রন আক্রান্ত দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।