নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল পক্ষে এলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির কার্যক্রম তরান্বিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রচারণায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, এই নির্বাচনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই নির্বাচনের ফলাফল আমাদের পক্ষে এলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত হবে। যদি ব্যতিক্রম হয়, তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে এই নারায়ণগঞ্জ থেকে আন্দোলন শুরু হবে।
পোলিং এজেন্টদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা যে ভাষায় কথা বলেন, আপনারাও সে ভাষায় কথা বলবেন। এজেন্ট বের করে দিয়েছে, কেন্দ্র দখল করে ফেলেছে—এ কথা শুনতে চাই না। যেভাবে হোক, প্রতিরোধ করবেন। তারা যে ভাষায় কথা বলে আপনারা সে ভাষায় জবাব দেবেন। আল্লাহ আপনাদের পাশে থাকবে। বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে, সব দলের নেতারা আপনাদের পাশে থাকবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশের তৈমূর বলেন, আজ স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মিছিল হলো। সেটা স্থানীয় নেতাদের মিছিল। যারা মেহমানদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। সরকারি দলের মিছিল হলো ঢাকা ও অন্যান্য জেলার মেহমান যারা আমাদের নারায়ণগঞ্জে আসেন তাদের নেতৃত্বে।
তৈমূর বলেন, যেখানে আমাদের ভোট বেশি পাওয়ার কথা সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। যদি তাই হয়, আপনারা মানবেন না। সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে যদি সরকার তার প্রার্থীকে জেতাতে চায় তাহলে সবচেয়ে বেশি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে আপনার। জনগণের কাছে আপনি আস্থাহীন হয়ে পড়বেন। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে যাবে না। এখন যেন আপনার নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর অনাস্থা না আসে। ২০২৩ সালে যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে আপনার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। মানুষ আপনার ওপর আস্থা রাখতে পারবে না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলো তাকিয়ে আছে। এমনিতেই আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। অনেকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আপনার ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। আপনি দয়া করে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যবস্থা করুন।