টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জের হাল ধরলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বিপুল ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে। মোট ১৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৭ ভোট। অপরদিকে হাতি প্রতীকে তৈমূর পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১২৯ ভোট।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এ সিটির ১৯২ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে মাঘের শীতের মধ্যে ভোটারদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে জড়ো হতে দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হয় কেন্দ্রের বাইরে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ভোটারকেও দেখা যায় ভোট দেওয়ার অপেক্ষায়। এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন বিএনপির বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
প্রায় ২০ লাখ মানুষের এ সিটিতে বর্তমান ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার-২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৯ আর পুরুষ ভোটার-২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন।
এদিকে, নিজেদের মেয়াদের শেষ সময়ে বড় নির্বাচনটি দেখতে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তবে কেমন ভোট হচ্ছে তা নিয়ে মন্তব্য না করে শুধু বলেছেন, বিদায় লগ্নে ভালো একটা নির্বাচন দেখতে চাই। তাই এখানে এসেছি।
পরে ঢাকায় ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমাদের কার্যকালে সর্বশেষ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এটি ছিল আমার অনেক প্রত্যাশার স্থান। কারণ, আমি ইতোপূর্বে বলেছি যার শেষ ভালো, তার সব ভালো।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পৌনে ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র পদে পুনঃনির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আইভী।
আইভী পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।