রাজধানীর গণপরিবহনের চাকা যাদের হাতে ঘুরে, সেই বাসচালক ও বাস শ্রমিকদের প্রায় ৭০ শতাংশই এখনো করোনার এক ডোজ টিকাও পাননি।
তাদের বেশিরভাগই জানেন না টিকার জন্য কিভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য ‘সুরক্ষা’ নামে যে একটি অ্যাপ রয়েছে সেই খবরও জানা নেই কারও।
এদিকে টিকার সনদ ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না- বিআরটিএ’র এমন নির্দেশনায় আপত্তি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
তারা বলছেন, দেশের টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের টিকার জন্য ব্যবস্থা করা না হলে চালকের অভাবে অনেক বাস বন্ধ রাখতে হবে।
করোনার নতুন ঢেউয়ের মধ্যে সব আসনে যাত্রী নিলেও বাসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি চালাতে সড়কে চলছে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
সরকারি নির্দেশনা মতে প্রত্যেক বাস ও হেল্পারদের করোনার টিকা দেয়ার সনদ সাথে রাখতে হবে। যারা টিকার সনদ দেখাতে পারছে না তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সোমবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় রাজধানীর মহাখালি বাস টার্মিনালে চলা অভিযানে ১০টি বাসের চালককে বাস থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
তবে বাস্তব চিত্র হচ্ছে এখনও প্রায় ৭০ শতাংশ চালক ও শ্রমিকই করোনা টিকার আওতায় আসেনি। তাদের বেশিরভাগই এক ডোজ টিকাও নেননি।
শ্রমিকরা বলছেন, টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই। কারো কাছ থেকে এ ব্যাপারেকোন সহায়তাও পাননি। তবে তারা টিকা নিতে আগ্রহী।
আর, পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা বলছেন, টিকা সনদ ছাড়া চালকদের গাড়ি চালাতে দেয়া না হলে চালক সংকটে পড়বে পরিবহন সেক্টর।
তারা দাবি জানান, দেশের প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে চালক ও শ্রমিকদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হোক। এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে সহযোগিতার কথাও জানান তারা।
তবে জানা গেছে, যারা এখনও এক ডোজ টিকাও নেয়নি তাদের তালিকা করেছে পরিবহন কোম্পানিগুলো। সে তালিকা পাঠানো হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
এরপরই পরিবহন শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনার কাজ করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রয়োজনে টার্মিনালে গিয়ে টিকা দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।