নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া নির্বাচন কমিশন আইন পাশ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ শেষে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ, আর্থিক ও প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী কমিশন গঠনে প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মন্ত্রীসভা সদ্য অনুমোদন পাওয়া নির্বাচন কমিশন গঠন আইন চলতি সংসদেই পাশ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নতুন কমিশন গঠনের আগে এই আইন পাশের মতো পর্যাপ্ত সময় নেই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অপেক্ষা করুন এবং দেখুন। কোন কিছুই অসম্ভব নয়। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি যেভাবে মনে করবেন সেভাবেই করবেন।
কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করা যায়। এর প্রয়োজন রয়েছে। এটি হবে বিশেষ ধরনের আইন। আগে কেউ করেনি। সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ পর্যন্ত দুইবার সার্চ কমিটির মাধ্যমে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সংবিধান মেনে চলবে।
মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত আইনটি বিগত পঞ্চাশ বছরে কেউ করার উদ্যোগ না নিলেও আওয়ামী লীগ নিয়েছে মন্তব্য করে বলেন, এটি দেশ ও গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাবোধেরই প্রকাশ।
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়।
প্রায় ১ ঘন্টার এ সংলাপে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ, আর্থিক ও প্রযুক্তি সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী কমিশন গঠনে নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের প্রস্তাবনা দেয় আওয়ামী লীগ।
প্রতিনিধি দলে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধী বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতেই রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ।
সকল রাজনৈতিক দলের দাবি অনুযায়ী, ইসি গঠনে একটি আইন করার প্রস্তাবে সোমবারই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।