দেশবিরোধী প্রচারণার জন্য বিএনপি দুইটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৩১ কোটি টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ ব্যাহত, দেশি পণ্যের বাজার বাধাগ্রস্ত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ এবং ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়াতে লবিস্টরা কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে সোমবার সংসদে নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। পরের দিন মঙ্গলবার সেসব তথ্যের বিস্তারিত জানাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন শাহরিয়ার আলম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের দালিলিক প্রমাণ থেকে চুম্বক অংশ তুলে ধরেন। তিনি জানান, এসব দলিলের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলো।
তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াত বিদেশি লবিস্ট নিয়োগে আটটি চুক্তি করেছে। এর মধ্যে তিনটি চুক্তি করেছে বিএনপি। এই তিন চুক্তিতে বিএনপি সাড়ে ৩৭ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। বিএনপি অফিসের ঠিকানাও চুক্তির কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। জামায়াতের চুক্তির কপিতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা দেয়া নেই। তবে চুক্তির কপিতে তাদের নাম রয়েছে।
এসব লবিস্টরা বাংলাদেশের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি হোঁচট খায় এমন পদক্ষেপ নিতে নিজেদের দেশে প্রচারণা চালাচ্ছে। চেষ্টা চলেছে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নতি ঠেকানোর।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বিদেশি লবিস্টের সঙ্গে চুক্তি করেছে, সেসব চুক্তির কপি মঙ্গলবারই বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট নিয়োগে চুক্তির অনুমোদন রয়েছে। তবে এই চুক্তির অর্থ কীভাবে এলো, সরকার সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায়।
সরকার কোন লবিস্ট নিয়োগ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াতের অপপ্রচার বন্ধে মার্কিন একটি পিআর প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি আছে।
এমন অবস্থায় আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তনের জন্য লবিস্ট নয় বরং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যে দিয়েই ফলাফল আসবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।