সরকারি সেবা নিতে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে সবাই সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে সরকারি সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার পর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনদিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের বলেন, জনগণের টাকায় সরকারি কর্মচারীদের বেতন হয়, সেটা মনে রেখে জনগণকে সেবা দিতে হবে। সব ধরনের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করতে হবে।
এসময় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে জেলা প্রসাশকদের ২৪ দফা নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি মানুষও ঠিকানা বিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। এজন্য জেলা প্রশাসকদের আরও কাজ করতে হবে।
দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আগের মতো সজাগ ও সচেতন থেকে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান জানান, টেন্ডার নিয়ে বোমাবাজি বন্ধ হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না হয়ে থাকলে সে সব জায়গায় ই-টেন্ডার কার্যক্রম চালু করতে হবে।
একইসঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যৌক্তিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রকল্প নেয়ার তাগিদ দেন তিনি। তবে অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্পে হাত না দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, একটা কিছু করা জন্য কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না।
জেলা প্রসাশকদের সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবার যেনো অসহায় জীবনযাপন না করে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
ডিসি সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। পরে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার ডিসি সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। মহামারির কারণে দুই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলন করা হয়ে থাকে।