করোনা মহামারির বিস্তার রোধে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে কি না তা জানা যাবে শনিবার (২২ জানুয়ারি)। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ডাকা জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন শঙ্কায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সরকারের ঘোষণার পরপরই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারাও শিক্ষার্থীদের জন্য যেটি সুবিধা সেই ধরনের সিদ্ধান্তই নিবেন।
এর আগে গত অক্টোবরে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীদের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া হলেও অধিকাংশ বিভাগেরই পরীক্ষা চলমান। সেই পরীক্ষাগুলো হবে কি না, কীভাবে হবে, হল খোলা থাকবে কি না, এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মনে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাফায়াত বলেন, এর আগে প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার কারণে আমরা ভয়াবহ সেশনজটে পড়েছি। বাণিজ্য মেলা খোলা রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা মোটেও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেওয়া দরকার।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত সব সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকবে। আমরা ভাবছি সশরীরে পাঠদান বন্ধ রেখে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালাতে। তা ছাড়া হলগুলো খোলা রেখে চলমান পরীক্ষাগুলো যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয় সে বিষয়ে কথা বলবো।
একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তের ওপর এসব কিছু নির্ভর করছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেকের টিউশন আছে। হঠাৎ করে বন্ধ করলে তারা সমস্যায় পড়তে পারে। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন ভাইস চ্যান্সেলর সহ আমরা সবাই শিক্ষার্থীদের জন্য যেটি ভালো হয় সেই সিদ্ধান্তই নেব।