উদ্বেগজনক সংক্রমণের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে চট্টগ্রামে চলছে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, মাইকিং করে বারবার অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে ভিড় না করে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা। কিন্তু তারপরও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির তোয়াক্কা ছিল না অভিভাবকদের। সামাজিক দূরত্বের লেশমাত্র ছিল না কেন্দ্রগুলোতে।
টিকা দিতে আসা শিক্ষার্থী বলেন, টিকা দিতে সকাল ১০ টায় আসছি। দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে জানি না। যদি আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে টিকা দিত, তাহলে এত কষ্ট করা লাগত না।
ছেলেকে টিকা দিতে নিয়ে আসা এক অভিভাবক বলেন, ছেলের টিকা দিতে আসলাম। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে ছেলে ক্লান্ত হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধিরও কোনো বালাই নেই। আর এই ভিড়ের মধ্যে তো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভবও না। সরকারের টিকাকেন্দ্র আরও বাড়ানো উচিৎ। তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিও কমবে এবং স্বাস্থ্যবিধিও রক্ষা হবে।
এক একটি কেন্দ্রে ৫ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্টের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগীয় উপ প্রধান মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করাটা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। টিকা কেন্দ্রে এত অভিভাবক না আসলেও পারত। যদি প্রত্যেক স্কুল থেকে ৫ জন করে শিক্ষক আসত এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিতো তাহলে এতটা ভিড় হতো না আর এত ঝামেলা ও হতো না।
শনিবার প্রথম ডোজের পাশাপাশি বেশ কিছু কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। টিকা নিতে পেরে সন্তুষ্টি ছিল শিক্ষার্থীদের।
চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লাখের মতো। এর মধ্যে প্রথম ডোজের আওতায় এসেছে প্রায় ৮ লাখ শিক্ষার্থী।