বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে তাদের সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংস্থাটির প্রতি বাইডেন প্রশাসনের দীর্ঘমেয়াদী সমর্থনের অঙ্গীকার। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপের এই প্রস্তাবটিতে টেকসই অর্থায়নের কথা বলা হয়েছিল। এতে সংস্থাটির প্রত্যেক সদস্যের বাধ্যতামূলক বার্ষিক চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। গত ৪ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত নথি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।
বড় ধরনের সংকট মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর সীমাবদ্ধতা কতখানি তা করোনাভাইরাস মহামারিতে স্পষ্ট বোঝা গেছে। সংস্থাটির পরিকল্পনা ছিল, ভবিষ্যতে এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় এর ক্ষমতা বাড়িয়ে বিস্তৃত সংস্কার আনা।
সে উদ্দশ্যেই টেকসই অর্থায়নের মাধ্যমে সংস্থাটিকে আরও শক্তিশালী করতে চারটি প্রস্তাব জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ার্কিং কমিটি। এতে সদস্য দেশগুলোর বার্ষিক অর্থায়ন বাড়ানোর মাধ্যমে ২০২৮ সাল নাগাদ ২শ বিলিয়ন ডলার বাজেট করার মত প্রস্তাবও ছিল।
এ প্রস্তাবে ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো সম্মতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছে। আলোচনায় উপস্থিত থাকা ইউরোপের চার কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের বাধাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। ডব্লিউএইচও’র ক্ষমতা না বাড়িয়ে বরং আলাদা একটি তহবিল গড়তে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যা জরুরি স্বাস্থ্য সংকট প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অর্থায়ন করবে বলে তাদের বক্তব্য।
অন্যদিকে প্রস্তাবের সমর্থকরা বলেছেন, সদস্য দেশ ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো দাতব্য সংস্থাগুলোর ঐচ্ছিক অনুদানের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়ায় দাতাদের নির্ধারণ করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে ডব্লিউএইচও। যার ফলে কোনো ভুল হলেও সদস্যদের সমালোচনা করার তেমন কোন ক্ষমতা থাকে না সংস্থাটির।