করোনা মহামারির দুই বছর কোনো ব্যবসা করতে পারেন নি ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যাংক ঋণ পরিশোধে সময় বৃদ্ধি করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে যে ব্যবসায়ী লাভ করবে না, তাদের থেকে ভ্যাট নেওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন তারা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই সম্মেলন কক্ষে এফবিসিসিআইয়ের কাউন্সিল-২০২২ সম্মেলনে এসব বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সদস্যরা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, ভ্যাট আদায় স্বচ্ছ করতে প্রতিটি বিভাগে ব্যবসায়ী ও রাজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনার করা হবে। যাতে হয়রানি বন্ধ হয়। এছাড়া নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষায় জাতীয় ইস্যুতে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেছেন, প্রণোদনার এক লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২২ হাজার কোটি টাকা এসএমই খাত পুরোপুরি পায় নি।
সারা দেশ ব্যবসায়ীদের করের টাকায় চলে মন্তব্য করে জসিম উদ্দিন বলেছেন, সেখানে ডিসি সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতিকে রাখা হয় না।
এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, আইকর আইন নিয়ে কথা বলতে হবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভ্যাটের কারণে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। ফোর্থআইআর বলা হচ্ছে, কতটুকু সক্ষমতা আমাদের আছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, দুইবছর কোনো ব্যবসা করতে পারি নি, ছয়মাস আরও কিস্তি সুবিধা বাড়াতে হবে ও সঠিকদের প্রণোদনা ঋণ প্রদানে ব্যবস্থা করতে হবে।
যেভাবে ভ্যাট কালেকশন করা হচ্ছে, তাতে কোন ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারবে না। এজন্য ভ্যাট মনিটরিং এ এফবিবিসিআই একটা টিম করার দাবিও জানায় তারা। তারা বলেন, প্রতিবছরই ব্যবসায়ীরা লাভ করবে তা নয়, এজন্য ভ্যাট প্রদানে পরিবর্তন আনতে হবে।
এসময় এফবিবিসিআই সভাপতিকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার প্রটোকল দেওয়ারও দাবি জানান এফবিসিসিআই সদস্যরা। সেই সঙ্গে জেলা পর্যায়েও চেম্বার সভাপতিদের পদমর্যাদা নির্ধারণের দাবি জানান অংশগ্রহণকারীরা।