মহামারিকালে যখন বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ আর্থিক দুর্দশায়। ঠিক তখন মাত্র দশজন লোকের সম্পদ বেড়েছে দেড় লাখ কোটি ডলার। অক্সফামের প্রতিবেদনে উঠে এলো এ তথ্য। ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলন সামনে রেখে প্রকাশ করা হয় এই প্রতিবেদন।
অক্সফামের গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারির সময় দিনে ১৩০ কোটি ডলার করে বেড়েছে বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর সম্পদ। তাদের মধ্যে আছেন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও ওয়ারেন বাফেটের মতো ধনীরা। এই ধনীদের মোট সম্পদ বেড়েছে দেড় লাখ কোটি ডলার। যা বিশ্বের দরিদ্র ৩১০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান।
ধনীদের সম্পদের ওপর সম্পদ কর বা বিলিয়নিয়ার ট্যাক্স আরোপের আহ্বান জানিয়েছে অক্সফ্যাম। তাদের এই আহ্বানে সংহতি জানিয়েছে ‘প্যাট্রিয়টিক মিলিয়নিয়ার’ নামে ধনীদের একটি সংগঠন।
বিশ্বের ১৬ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার নিচে ঠেলে দিয়েছে করোনা মহামারি। অথচ ৯৯ শতাংশ সম্পদ দান করলেও শীর্ষ ধনীদের সম্পদ থাকবে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষের থেকে বেশি।
অক্সফাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও সিইও অ্যাবি ম্যাক্সম্যান বলেন, এই পরিস্থিতির সমাধান হলো বিশ্বের এই ধনীদের সম্পদের উপর কর আরোপ করা। এই ধারণা এখন সারা বিশ্বেই বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত হচ্ছে। যা প্রচুর তহবিলের যোগান দিতে পারে।
করোনা ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি নিয়েও অসমতা রয়েছে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে। ধনী দেশগুলোতে যেখানে ভ্যাক্সিন গ্রহণের হার ৭৫ শতাংশ। সেখানে গরিব দেশগুলোতে এই হার মাত্র সাত শতাংশ।
অক্সফাম জানিয়েছে, মহামারিতে লকডাউন ও আইসোলেশনের কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি থেকেও মুনাফা লুটেছেন অনেক শীর্ষ ধনী।
মহামারির মাঝেই রেকর্ড হারে বেড়েছে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা। বিশ্বের ২ হাজার ৭শ’ ৫৫ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পদ বর্তমানে ১৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। অথচ গত বছরও তাদের এই সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৮ ট্রিলিয়ন ডলার।