বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপীয় পরিচালক হ্যানস ক্লুজ বলেছেন, করোনা মহামারিকে নতুন স্তরে নিয়ে গেছে অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরন। আর ইউরোপেই এই মহামারির ইতি ঘটতে পারে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এমনটি হতে পারে যে এই অঞ্চলে মহামারি এক ধরনের শেষ স্তরে ধাবিত হচ্ছে। আর মার্চের মধ্যে ৬০ শতাংশ ইউরোপীয় ওমিক্রনে সংক্রমিত হতে পারেন।
ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বর্তমান প্রাদুর্ভাব যখন কমতে শুরু করবে, তখন হাতে গোনা কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাসের মধ্যে বৈশ্বিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। টিকা কিংবা সংক্রমণের কারণে লোকজনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে। এমনকি মৌসুমি সংক্রমণও কমতে থাকবে।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ খুব একটা মারাত্মক রূপ নিচ্ছে না, এতে মৃত্যুও কম হচ্ছে। এছাড়া এই ধরনের কারণে মহামারি মৌসুমি ফ্লুর মতো নিয়ন্ত্রণযোগ্য আঞ্চলিক রোগে পরিণত হতে যাচ্ছে।
হ্যানস ক্লুজ বলেন, আঞ্চলিক কিংবা স্থানীয় রোগ নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এতটুকু পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব যে, সামনে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে। এই মহামারি আবারও আমাদের অবাক করে দিয়েছে। কাজেই আমাদের খুবই সতর্ক হতে হবে।
মধ্য এশিয়ার কয়েকটি দেশসহ ৫৩টি দেশ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চল। এতে ১৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণের ১৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে ওমিক্রন। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ছয় দশমিক তিন শতাংশ।