প্রতি বাস স্টপেজে ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এটা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মামনুন ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করতে পারা এবং আইনের ৩৪(৩) ধারার বিধান প্রতিপালনে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য স্থান ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি আইনের ৩৪ (৪) ধারার বিধান মোতাবেক যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিক, কন্ট্রাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইন পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
১২২ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে সরকার জ্বালানি তেল ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য আন্দোলন শুরু করে বাস মালিকরা।
তিন দিন সারা দেশে বাস বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। পরে ৭ নভেম্বর বাস ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন দেয় সরকার। শুধু ডিজেল চালিত বাসের ভাড়া বাড়ানোর কথা বলা হলেও সে সময় গ্যাসে চলা বাসের ভাড়াও বাড়িয়ে আদায় শুরু করে চালক-সহকারীরা।