বরিশালের গৌরনদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও এক স্কুল ছাত্র। তিন স্কুলছাত্রই সহপাঠী।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করছেন গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন।
এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার বার্থী কলেজের সামনে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে অন্তর বেপারী (১৬) ও তারাকুপি এলাকার জালাল ফকিরের ছেলে রেদওয়ান ফকির (১৬)। নিহতরা বার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আহত অপর স্কুলছাত্রের নাম কাইয়ুম ঘরামি (১৭)। সে পাশের গাইনের পাড় এলাকার সেলিম ঘরামির ছেলে। সে নিহত দুই স্কুলছাত্রের সহপাঠী।
স্থানীয়রা জানান, বরগুনার পাথরঘাটা থেকে বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ওই তিন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলযোগে গৌরনদী সদরের বেসরকারি এবি সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হলে তিন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়।
পরে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ ও গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অন্তর বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত মো. রেদোয়ান ফকিরকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বলেশ্বর পরিবহনের বাসটিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় সড়কের দুইপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পরে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় একঘণ্টা পর গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার অধিকাংশই মহাসড়কে, আহতের চেয়ে নিহত দ্বিগুণেরও বেশি
আহত সহপাঠী ও তার স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য গৌরনদী সদরের বেসরকারি এবি সিদ্দিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইদ্রিস আলী জানান, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিতে যাওয়ার কোনো খবর তার জানা নেই। আর আজ তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথাও নয়।
সার্বিক বিষয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় বাসটি ছাড়া কাউকে আটক করা যায়নি। এছাড়া হতাহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।