১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার বিচার চায় ভারত। একইসঙ্গে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার বিচার চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি।
এ ধরণের সশস্ত্র সংঘাত মানুষের জীবনে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনে, বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষতি করে এবং সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের কর্মকাণ্ডের সমালচনা করে দেশটি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এবারের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ‘সশস্ত্র সংঘাতকালে বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা : বড় শহরসমূহে যুদ্ধ ও নগরাঞ্চলে বসবাসরত বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস জানায়, বৈঠকে মুম্বাইতে চালানো সন্ত্রাসী হামলার কথাও ইউএনএসসিকে স্মরণ করিয়ে দেয় ভারত। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে মুম্বাই হামলায় ১৫ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক এবং ১৬৬ জন বেসামরিক ভারতীয় নাগরিক নিহত হন।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই শহুরে যুদ্ধ এবং শহরে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি। জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে সংঘাতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যবহার, বিশেষ করে যেগুলো ব্যাপক অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত করে, এগুলোর নির্বিচার ব্যবহার বেড়েছে। আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের মানুষ নগর সংঘাতের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়া আরও কিছু দেশ রয়েছে যারা অতীতে বেসামরিক জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য যথাযথ বিবেচনা ছাড়াই বা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল, যেমন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা করা হয়েছিল।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই শহুরে যুদ্ধ এবং শহরে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি। জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে সংঘাতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যবহার, বিশেষ করে যেগুলো ব্যাপক অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত করে, এগুলোর নির্বিচার ব্যবহার বেড়েছে। আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের মানুষ নগর সংঘাতের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়া আরও কিছু দেশ রয়েছে যারা অতীতে বেসামরিক জনসংখ্যার সুরক্ষার জন্য যথাযথ বিবেচনা ছাড়াই বা ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল, যেমন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা করা হয়েছিল।