প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে প্রবেশ করা ২৭ সন্দেহভাজন চোরাচালানিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে জর্ডানের সামরিক বাহিনী। মাদক বহনকারী আরও কয়েকজন নিজ দেশ সিরিয়ায় চলে গেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) জর্ডানের সামরিক বাহিনীর ওয়েসবাইটে এমন খবর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সিরিয়া থেকে মাদকপাচারের বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।-খবর আলজাজিরার
আলাদা একটি অভিযানেও বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জর্ডানের সামরিক বাহিনী বলছে, নতুন নির্ধারণ করা নিয়মাবলীর প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে। যদি মাদকপাচার কিংবা অনুপ্রবেশ চেষ্টা করা হয়, তবে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। সীমান্ত রক্ষায় প্রয়োজনে গোলাবারুদের ব্যবহার ও শক্তিপ্রয়োগ করা হতে পারে।
চলতি মাসের শুরুতে মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জর্ডানের এক সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। দেশটিতে সাড়ে ছয় লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী রয়েছে। গেল এক দশকের গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে পালিয়ে তারা প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুক্তি চায় সিরিয়া!
সেপ্টেম্বরে জর্ডান সীমান্তে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সিরীয় বাহিনী। এরপর জর্ডানের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় পর একটি সীমান্ত ক্রোসিং খুলে দেওয়ার পর সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলার কারণে সীমান্তে মাদক কারখানা গড়ে উঠেছে। উপসাগরীয় দেশগুলোতে মাদকপাচারের প্রবেশপথে পরিণত হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও লিবিয়া।
চোরাচালানির পেছনে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে জর্ডানের কর্তৃপক্ষ। যদিও হিজবুল্লাহ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।