পটুয়াখালীতে সমঝোতা সভায় বিএনপি’র বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জেলার গলাচিপায় উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ও বর্তমান কমিটির গ্রুপের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত গলাচিপা উপজেলা বিএনপির বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা করতে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি সদস্য অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর পরপরই শাহজাহান খান ও হাসান মামুনের পক্ষে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগান দিলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.শাহজাহান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন মিয়া, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো.সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব আ. ছাত্তার হাওলাদার প্রমুখ।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.শাহজাহান খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কেউ তার ইচ্ছামত কমিটি গঠন করবে তা আমরা মানবো না। আমরা আহবায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি।
এব্যাপার বিএনপির আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমানের বলেন, গত ২৩ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলা ও পৌর কমিটি ঘোষণার পর পরই শাজাহান খান বিএনপি অফিসে তালা লাগিয়ে দেন এবং কৌশলে পৌর হোল্ডিং এ বিএনপি অফিসের নাম কেটে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। যা অফিস আত্মসাতের এর সামিল। আজ (বুধবার) বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকির জন্য বিএনপি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এসময় শাজাহান খানের লোকজন বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হঠাৎ করে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। অফিস কুক্ষিগত করে রাখার বিষয়টি ইতিমধ্যেই আমরা সকল প্রমাণসহ বিএনপির হাইকমান্ডকে অবহিত করেছি।
এব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুস রহমান বলেন, গলাচিপার সাংগঠনিক সমস্যা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হবে। অচিরেই দুই পক্ষের সমঝোতা করা হবে।