উন্নত বিশ্বে উচ্চতর পড়ালেখার খরচ অনেক বেশি। বিশেষ করে আমেরিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই খরচের হার সব থেকে বেশি।
বিশাল অংকের এই খরচ সামাল দিতে গিয়ে সেখানের অনেক শিক্ষার্থীকে ধার নিয়ে চলতে হয়। পড়ালেখা শেষ করে সেই ধার আবার শোধও করতে হয়।
পড়াশোনা শেষে চাকরির বেতন থেকে একটা অংশ চলে যায় ধার শোধ করতেই। কিন্তু এবার সামনে এলো এমন এক ঘটনা যা শুনে সবার চোখ কপালে উঠেছে।
পড়াশোনার বিপুল খরচের ধার মেটাতে এবার নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করে ধার শোধ করলেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার নিউইয়র্কে।
জানা গেছে, ক্যাসান্ড্রা জোনস নামের ওই তরুণীকে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ চালাতে প্রায় এক লক্ষ ৬০ হাজার ডলার ধার করেছিলেন।
পড়ালেখা শেষে চাকরিও পাননি তিনি। কিন্তু ধার শোধের জন্য চাপে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ধার শোধে এখনও অবধি পাঁচবার নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করেছেন এই তরুণী।
এতে ক্যাসান্ড্রার মোট আয়ও হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু তবুও শোধ হয়নি শিক্ষা ঋণের টাকা। আরও বাকি আছে এক লাখ ১০ হাজার ডলার।
আমেরিকার মতো দেশে শুধু ক্যাসান্ড্রাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ চালাতে গিয়ে ধার নিয়ে তা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়েন সেখানের অনেক শিক্ষার্থীই।
সেখানের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য এমন সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা, সেই তালিকায় একেবারে ওপরের দিকেই আছে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ যেমন বেশি, তেমনই পড়া চলাকালীন অর্থ সঙ্কটে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্যও পাওয়া যায় না।
এদিকে, ডিম্বাণু বিক্রি করে ধার শোধ করার ফলও যে ভয়াবহ হতে পারে তেমন আশঙ্কার কথা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ক্যাসান্ড্রাকে। তবুও পিছিয়ে আসেননি তিনি।
চিকিৎসকরা বলেছেন, ডিম্বাণু দেয়া সহজ কাজ নয়। আগে হাজারো পরীক্ষা করানো হয়। দাতার বয়স, নেশার অভ্যাস, স্বাস্থ্য সব দিক বিবেচনা করে তবেই ডিম্বাণু নেয়া হয় তার কাছ থেকে।
এছাড়াও, এর ফলে কোলন ক্যানসার, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্টের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। এক কথায়, ডিম্বাণু দান বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই সতর্ক করে থাকেন চিকিৎসকরা।