তিন দশকেরও বেশি সময় পর চলতি সপ্তহে থাইল্যান্ডের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে সৌদি আরব।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।
এতে ১৯৮৯-১৯৯০ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করেন থাই প্রধানমন্ত্রী। তখন থাই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চুরি করে নিয়ে যাওয়া সৌদি যুবরাজের ডায়ামন্ড উদ্ধার করতে গিয়ে একটি মিশনের তিন সৌদি কূটনীতিক নিহত হন। এরপর দুদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
১৯৮৯ সালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ ঘটায় সৌদি আরব। যুবরাজ ফয়সাল বিন ফাহদ আল-সৌদের দুই কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের হীরা চুরি করে জাহাজযোগে থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পরে নিজে পালিয়ে থাইল্যান্ডে চলে আসেন।
দেশে ফিরে তা বিক্রি করে দেন ক্রিয়াংক্রাই টেকামং নামের ওই গৃহকর্মী। পরে ওই হীরা খুঁজে বের করতে থাইল্যান্ডে তিন কূটনীতিক পাঠায় সৌদি আরব।
হীরা উদ্ধার করতে এসে নিহত হন তারা। কিন্ত তাদের হত্যাকারীদের এখন পর্যন্ত খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। থাই পুলিশ কিছু হীরা খুঁজে বের করার দাবি করলেও পরীক্ষায় দেখা গেছে তার অধিকাংশই নকল।
চুরি হওয়া বিরল একটি নীল হীরার সন্ধান আর কখনোই মেলেনি। যে কারণে এই ঘটনকে ‘নীল হীরা কেলেঙ্কারী’ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এরপর মোহাম্মদ আল-রাওয়াইলি নামের এক ব্যবসায়ী যান থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হীরার সন্ধানে। তিনিও নিহত হন। এই চার ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় থাই সরকার কাউকে অভিযুক্ত করেনি।
পরবর্তীতে এসব হীরা ক্রয়ের জন্য রত্নব্যবসায়ী সান্থি সিথানাকানকে অভিযুক্ত করে থাই পুলিশ। কিন্তু কয়েকদিন পর এই ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী ও ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।