উইঘুর মুসলিমদের বিশাল এক ক্যাম্পে আটকে রেখে অত্যাচারে অভিযোগ চীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই উঠে আসছে। বলা হচ্ছে, দেশটির জিনজিয়াং প্রদেশের এই ক্যাম্পে অন্তত ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে এই ক্যাম্প সফরের অনুমতি দেয়া হলো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের প্রধান মিশেল ব্যাচলেটকে।
অনেক আগে থেকেই এই ক্যাম্প ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আসছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। তবে চীনা সরকার বরাবরই সব ধরনের আবেদন নাকচ করে আসছিল। তবে এবারে কিছু শর্ত আরোপ করে মিশেল ব্যাচলেটকে জিনজিয়াং ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হলো।
শর্তানুযায়ী, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেইজিং অলিম্পিকের আসর শেষে যেকোনো দিন চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে সফরে আসতে পারেন মিশেল। তবে এই সফরভিত্তিক কোনো প্রতিবেদন তিনি বা তার দলের সদস্যরা লিখিত আকারে প্রকাশ করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে আটকে রাখা হয়েছে এবং সেখানে তাদের বাধ্যতামূলক শ্রম, প্রহার, অঙ্গচ্ছেদ, বন্ধ্যাকরণসহ উইঘুর নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা গণমাধ্যম ও পশ্চিমা দেশগুলো। এনিয়ে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে বরাবরই চীনা সরকার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করছে, উইঘুর মুসলিমদের কোনো ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়নি। বরং তারা যেন ধর্মীয় কট্টরপন্থার দিকে ঝুঁকে না পড়ে, সেজন্য সেখানে তাদের বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যদিও এই ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা বা ছাড়া পাওয়া একাধিক ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। সেখানে অত্যাচারের কথা স্বীকার করেছেন তারা।