পুরুষের বহুবিবাহের কথা অনেক শোনা যায়। আবার এক সঙ্গে একাধিক বউ রাখার ঘটনাও কম নয়। তাই বলে এক সঙ্গে আট বউ রাখা! বিস্ময়কর হলেও এমনই ঘটনাও আছে।
বর্তমান যুগে আট বউকে রাখা অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনারই জন্ম দিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক নাগরিক। শুধু তাই নয়, আট বউ নিয়ে চুটিয়ে সংসারও করছেন তিনি।
সেই থাই নাগরিকের নাম ওঙ দাম সোরোট। একই ছাদের নিচে আট বউ নিয়ে তার সংসার করার খবর এখন সামাজিক মাধ্যমের সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোরোট পেশায় একজন ট্যাটু শিল্পী। তার দাবি, আট বউ নিয়ে সুখেই সংসার করছেন তিনি। শুধু তাই নয় বউদের মধ্যে কোন ধরনের অশান্তি নেই। সবাই মিলেমিশে থাকছে।
সে সঙ্গে সোরোট দাবি করেছেন, আট বউয়ের সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসেন তিনি। তাদের যত্নের কোন কমতি নেই। আর আট বউকে খুশি থাকায় নিজেকে ভাগ্যবানও মনে করেন।
আট বউয়ের সঙ্গে সোরোটের পরিচয়ও বেশ মজার। প্রথম বউ নোঙ স্প্রাইতের সঙ্গে পরিচয় এক বন্ধুর বিয়েতে। সেখানে প্রথম দেখাতেই সোরোটের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তারপর বিয়ে।
দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলকে দেখেন বাজারে। তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সঙ্গে আলাপ হাসপাতালে। চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে সোরোটের আলাপ হয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকে।
আর, এক মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিলো সোরোটের। এবং অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সঙ্গে আলাপ হয় সাত স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে।
আট স্ত্রীই জানিয়েছেন, সোরোট কোন সময়ই তাদের কাছে আগের বিয়ে নিয়ে কোন তথ্য গোপন করেননি। তারা জেনে শুনেই অন্যদের সঙ্গে এক ছাদে নিচে থাকতে রাজি হন।
সোরোটের বউরা জানান, তারা সবাই তাদের স্বামীকে সমান ভালবাসেন। একের বেশি বউ থাকার পরও তারা নিজের মধ্যে কোন ধরনের বিবাদে জড়ান না।
সোরোটের সব বউই কিছু না কিছু রোজগার করেন। কেউ বেকার থাকতেও নারাজ। সবার আয় এক করেই চলে সংসার। আর এতে কোনও সমস্যাই হয় না সোরোটের।