২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, স্থানীয় সময় রোববার সকালে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এরমধ্য দিয়ে এক মাসের মধ্যে সপ্তমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উদ্বেগ ও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সবশেষ রোববার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির জাগাং প্রদেশের পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি দূরত্বের হোয়াসং টুয়েলভ। যা সবশেষ ২০১৭ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশ্লেষকদের অনুমান সঠিক হলে ২০১৭ সালের পর উত্তর কোরিয়ার এটিই সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে সাত বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো কিম জং উন সরকার। যার মধ্যে বিভিন্ন দূরত্বের উচ্চগতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ট্রেন থেকে উৎক্ষেপনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিবেশী দেশসহ গোটা পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। জাপানের মন্ত্রিপরিষদের প্রধান উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তার দাবি, পিয়ংইয়ং-এর ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের অর্থনৈতিক এলাকা থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে ছোড়া হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তীব্র নিন্দাও জানান তিনি।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে আমরা এখনো কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। তবে তাদের অব্যাহত এই পরীক্ষা আমাদের শান্তিপ্রিয় জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও হুমকি।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিম প্রশাসন। তবে বরাবরের মতো যে কোনো পরিস্থিতিতে টোকিও ও সিউলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।