ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ইভ্যালির দুই লকার ভেঙে পাওয়া গেছে দুই হাজার ৫৩০ টাকা। সেই সাথে মিলেছে ঢাকা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ইস্যুকৃত অসংখ্য চেক। এসব চেকে সই রয়েছে ইভ্যালির শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) লকারে ভেঙে আরও পাওয়া গেছে ট্রেড গাইডলাইন বুক, ইভ্যালির খামে রাখা খালি ভাউচারসহ অপ্রয়োজনীয় নানান কাগজ।
ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে আজ বেলা ৩টায় দুটি লকার ভাঙার কাজ শুরু করে ইভ্যালির পরিচালনায় গঠন করা বোর্ডের পরিচালক ও সদস্যরা।
প্রথম লকার ভাঙতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। পরে লকারের ভেতর পাওয়া যায় সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্লাংক চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাচ্চাদের পড়ার বই। সেই লকারে কোনো ধরনের অর্থ পায়নি বোর্ড।
উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির নাম দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।