বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা এদেশে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সোমবার প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার হত্যাকান্ড এবং তার পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করে হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের উষালগ্নে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ করেছিলো সেটিও ছিলো মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ।
‘এই যুদ্ধারপরাধীদের বিচার করা তো দূরের কথা বরং জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করেছিল’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা দেশটাই চায়নি, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকাই যারা চায়নি, এই পতাকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পতাকার পক্ষে যারা লড়াই করেছে, তাদের গাড়িতে এই পতাকাটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল। এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ছিল এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ছিল। একইসাথে জিয়াউর রহমান ক্ষমতাকে নিষ্কণ্ঠক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনাবিচারে হত্যা করেছিল। আর বেগম খালেদা জিয়ার আমলে প্রকাশ্যে দিবালোকে রাজধানীর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল এবং বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে দেশে বড় বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষা, অন্যায়ের প্রতিকার ও ন্যায়প্রতিষ্ঠা করতে হলে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এই অন্যায়গুলোর বিচারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে।