প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও হিলি স্থলবন্দরে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে প্রতিবেশি দেশ থেকে সীমান্ত এলাকায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা চিকিৎসকদের। এ অবস্থায় ভারতীয় ট্রাকচালকদের বন্দরে প্রবেশে টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আসছে। কিন্তু চালকদের এখনও আনা হয়নি অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতায়। এতে সীমান্ত এলাকায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এবিষয়ে স্থানীয় এক এলাকাবাসী বলেন, ভারত থেকে যেসব ট্রাক চালকরা আসছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বা তাদের কোনো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এসব নিয়ে আমরা এলাকাবাসী বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
এ অবস্থায় আগামী সপ্তাহ থেকে টিকার কার্ড ছাড়া বন্দরে ট্রাক চালকদের প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, দেশে করোনার বিস্তার দিন দিন বাড়ছে। তাই আমরা সোচ্চার হয়ে সীমিত পরিসরে কাজ করছি।
টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকতা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, ইতোমধ্যে ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আগামী সপ্তাহ থেকে টিকা কার্ড ছাড়া কোনো গাড়িকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তবে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে প্রবেশে টিকা কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুরের মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকরা যারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে, তাদের অবশ্যই টিকা কার্ড দেখানোর অনুরোধ করা হয়েছে। যদি কারও এটা না থাকে, তাহলে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়ে দিনাজপুরের হাকিমপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর এ আলম বলেন, আমাদের তদারকি কার্যক্রমগুলো চালানো হবে। এখানে কারও ক্ষেত্রে যদি মাস্ক না পরা বা স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে অনীহা দেখা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৩০০ ভারতীয় ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।