প্রথমবার করোনা থেকে সেরে ওঠার পর ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলটির একটি সূত্র মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সময় সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রথমবার সেরে ওঠার কিছুদিন পর তিনি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন বিএনপি চেয়ারপারসন করোনামুক্ত আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের ওই নীতি নির্ধারক পর্যায়ের নেতা বলেন, প্রায় একমাস আগে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এখন তিনি করোনা নেগেটিভ। কিন্তু অন্যান্য অসুস্থতা এখনও আছে।
তিনি বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ অনেক বেশি। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকাটা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাই তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে তিনিও (খালেদা জিয়া) মত দিয়েছেন।
ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেটি তিনিও জানতেন না। আসলে তাকে জানতে দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকরা বিষয়টি তাকে জানাতে চাননি’, জানান ওই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ এপ্রিল অসুস্থতা অনুভব করলে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই দিন রাতেই পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে দীর্ঘ ২৭ দিন পর তিনি করোনামুক্ত হন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, আজ বিকেলে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিকেল ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করবেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড আজ সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
ওই দিন রক্ত বমির পরপরই খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল। ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।