রাজধানীতে দুইটি আলাদা ঘটনায় ভবন থেকে পড়ে এক শিশু নিহত এবং আরেক শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গেণ্ডারিয়ায় ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে সাত তলার ছাদ থেকে পড়ে জিসান হোসেন জিম (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর আড়াইটার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মৃতের মা জরিনা বেগম জানান, তিনি ফরিদাবাদ বৈশাখ হাউজিংয়ে একটি সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাজ করেন। মাঝেমধ্যেই শিশুটি তার মায়ের সাথে সেখানে যায়।
তিনি বলেন, আজও জিসান ঘুড়ি নিয়ে ঐ ভবনের ছাদে গিয়ে ছিল। তিনি তখন কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
হঠাৎ একটি শিশু ওই ভবনের নিচে পড়ে আছে এই খবর পেয়ে সেখানে যান তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে করে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত জিসান গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া গ্রামের মো. জামালের ছেলে। সে ফরিদাবাদ ভাণ্ডারী গলিতে পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
এদিকে, রাজধানীতে অপর আরেকটি ঘটনায় পাঁচতলা থেকে তৃতীয় তলার সানশেডে পড়ে এক শিশু আহত হয়েছে।
সায়েদাবাদের বসন্ত গলিতে দুপুর আড়াইটার দিকে আড়াই বছরের শিশু রাফিয়া পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে ওই ভবনেরই তৃতীয় তলার সানশেডে পড়ে আহত হয়ে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে, প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকাল সাড়ে চারটায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। শিশুটি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির মামা রাফসান জানিয়েছেন, শিশুটি ওই ভবনের পঞ্চম তলার ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে থাকে।
তিনি বলেন, অন্যান্য শিশুদের সাথে ছাদে খেলাধুলা করার সময় পড়ে গিয়ে তৃতীয় তলার সানশেডে আটকে থাকে। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
রাফিয়া আক্তার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম পাতরাই গ্রামের নারকেল ব্যবসায়ী করিম ব্যাপারীর একমাত্র মেয়ে।