রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের হুমকির মুখে পশ্চিমা সমর্থনের প্রশংসা করে সেনাবাহিনী সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেন্সকি।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটেন, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সংসদে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের সাথে নতুন এক রাজনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্কের সূচনা হতে চলেছে। ২০১৪ সালের পর এটিকে ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় সমর্থন বলেন তিনি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, নতুন এই চুক্তিতে নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শক্তি নিয়েও কাজ করা হবে।
এসময় ইউক্রেনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং শক্তির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ১১৮ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
এদিকে, বৈঠক শেষে ইউক্রেনকে ড্রোন এবং মিসাইলসহ মানবিক সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসলে সম্ভাব্য শরণার্থী পরিস্থিতির জন্যও পোল্যান্ড প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সৈন্য মোতায়েন করলেও, ইউক্রেন আক্রমণের সব ধরনের পরিকল্পনা নাকচ করে আসছে রাশিয়া। তবে এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের শিগগিরই আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পোল্যান্ড ও ব্রিটেন উভয়েই ন্যাটোর প্রতিরক্ষা জোটের অংশ হলেও, ইউক্রেন নয়। তাই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে সেনা পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ন্যাটো।
তবে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ দাবি জানালেও তা মানতে নারাজ রাশিয়া।