পর্যটকদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ ও জলাবদ্ধতা থেকে রাঙামাটিকে রক্ষায় মাঠে নেমেছে জেলার দুটি প্রতিষ্ঠান। প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারযোগ্য করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুটি। কিন্তু আর্থিক সংকটে বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারছেন না তারা।
প্লাস্টিক বোতল বা পণ্যের ব্যবহার যত বাড়ছে, ততই ক্ষতি হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা। নগরে বাড়ছে জলাবদ্ধতা।
এই দূষণ ও জলাবদ্ধতা থেকে পর্যটন শহর রাঙামাটিকে রক্ষায় চলছে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকপণ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারযোগ্য করার কাজ। যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল কিংবা টুকরো ভাঙারির দোকানে নিয়ে আসেন শ্রমিকরা। সেখান থেকে কারখানায় নেওয়ার পর বোতল ও অন্যান্য প্লাস্টিকপণ্য রং অনুযায়ী আলাদা করা হয়। কাটিং মেশিনের সাহায্যে ছোট ছোট টুকরা করে চৌবাচ্চায় ধুয়ে, প্লান্টের বাইরে রোদে শুকিয়ে প্যাকেটজাত করা হয়। এরপর রঙিন টুকরোগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকায় আর সাদা টুকরোগুলো পাঠানো হয় চীনে।
সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী এসব কারখানায় কাজ করে আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখছেন বলে জানান শ্রমিকেরা। তারা বলেন, আমাদের সংসারের অভাব ছিল। তবে এখানে জীবিকা অর্জন করে আমাদের সংসার চলছে।
তবে উৎপাদিত কাঁচামাল বিদেশে গেলেও পরিবেশবান্ধব এই কাজে ঋণ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ বিষয়ে রাঙামাটির মেসার্স এস বি প্লাস্টিকের মালিক সুব্রত বড়ুয়া বলেন, এগুলো চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এটি চীনে সরবরাহ করা হয়। এবং রাঙামাটির মেসার্স রাঙামাটি প্লাস্টিকের মালিক রাজা মিয়া বলেন, পুঁজির অভাবে আমরা ব্যবসা করতে পারছি না। বিভিন্ন ব্যাংক ঋণ দিতে আগ্রহী প্রকাশ করে না।
এদিকে রাঙামাটির ব্যাংকগুলোকে এমন মহতি কাজে ঋণ দেওয়ার আহ্বান জেলার চেম্বার নেতারা। রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এক্ষেত্রে ব্যাংকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। এবং ব্যাংক ঋণের যে হার্ড অ্যান্ড ফাস্ট রুল এখানে প্রবর্তিত আছে, এটা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে।
উল্লেখ্য, কারখানা দুইটি থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫ টন প্লাস্টিক গুঁড়া জেলার বাইরে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধশত শ্রমিক।