উজবেকিস্তানের তাসখন্দ চিড়িয়াখানায় ভয়াবহ এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলেন কয়েকশ দর্শনার্থী। ওই চিড়িয়াখানায় এক মা সবার সামনে তার তিন বছরের মেয়েকে ভাল্লুকের খাঁচার ভেতরে ফেলে দেন। শিশুটিকে খাঁচার ভেতরে যে স্থানে ফেলা হয়, ভাল্লুকটিও সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো সে সময়। কিন্তু ভাল্লুকটি তার কোনো ক্ষতি করেনি, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিশুটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই নারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাসখন্দ চিড়িয়াখানার মর্মান্তিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মা তার সন্তানকে নিচে ফেলে দেওয়ার আগে শিশুটিকে টেনে খাঁচার কাছে আনেন। তারপর প্রায় ১৬ ফুট নিচে শিশুটিকে ফেলে দেন। এসময় খাঁচার ভেতরে একটা বিশাল বাদামী ভাল্লুক অসহায়ভাবে বিষয়টি দেখছিলও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একইসময় জুজু নামের ভাল্লুকটি খাঁচার ভেতরে তার ঘরের চারপাশে ঘুরছিলো। শিশুটিক নিচে ফেলা দেওয়ার পর ভাল্লুকটি তাকে শুঁকেছিলো। এরপর ভাল্লুকটি শিশুটিকে আঘাত না করেই সেখান থেকে দূরে সরে যায়।
এদিকে, ঘটনার পরপরই চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা বাচ্চা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে ভাল্লুকটিকে শান্ত করে এবং তাকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যায়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ছয়জন চিড়িয়াখানাকর্মী বেষ্টনী গড়ে তোলেন এবং তাদের মধ্যে একজন শিশুটিকে কোলে তুলে নেন।
ডেইলি মেইলের মতে, ওই নারীর (শিশুটির মা) নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতো উঁচু থেকে ফেলে দেয়ার কারণে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই নারীর উদ্দেশ্য কি তা সম্পূর্ণরূপে অস্পষ্ট। দর্শনার্থী এবং চিড়িয়াখানার কর্মীরা উভয়েই তাকে থামানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।