বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বি বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে অসন্তোষ জানিয়ে আবারও ভোট গণনার আপিল করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা নিপুণ আক্তার।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) তার আপিলের কারণে পুনঃরায় ভোট গণনা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান সাংবাদিকদের জানান, নিপুণের আপিলের পর আমরা আবার ভোট গণনা করেছি। ফলাফল অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোহান বলেন, নির্বাচন কমিশনের ফল সঠিক আছে। ভোটারদের ভুলে ২৬টি ভোট অকার্যকর হয়। এর মধ্যে নিপুণের ১৪ ও জায়েদের ১২টি ভোট রয়েছে। পুনরায় গণনার সময় নিপুণ উপস্থিত ছিলেন। তিনি এতে সন্তুষ্ট।
তবে এবার শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদটি নাকি বাতিল হতে পারে! সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা এসেছে।
জায়েদের পদ ছাড়াও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিলের আবেদন করেছিলেন আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। ভোট কেনার অভিযোগ এনে তিনি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে আবেদন জানান। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রকনুল হক সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুসারে নির্বাচনের আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ এখন আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে জায়েদ খান ও চুন্নুর পদ।
আগামীকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা। সেদিনই জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন এ নির্বাচনের আপিল বোর্ড।
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আপিল বোর্ডের প্রধান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হবে। সেখানে আমরা অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে ডাকবো। তাদের দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্ডার এসেছে- আপনারা ব্যাপারটাকে আমলে নিয়ে আলোচনা করে তাদের উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।