কক্সবাজার সদর হাসপাতালের গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে গেছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ অশালীন আচরণের অভিযোগ এনেছেন ছয় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের বেতন-ভাতা কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। এর প্রতিবাদেও কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ শাখার সদস্যরা। ফলে সকাল থেকে কোনো ওয়ার্ডে ইন্টার্নরা তাদের কাজে যোগ দেননি।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ অশালীন আচরণের কারণে অভিযোগ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কিন্তু অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ওই ছয় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের তিন মাসের এক্সটেনশন ও বেতন ভাতা কেটে রাখার আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ঘোষণা করে ইন্টার্নরা। যা এখনো চলছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কক্সবাজার ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মীর ম.ম. বিল্লাহ জানান, ২৬ নভেম্বরের অভিযোগ আমলে না নিয়ে উল্টো ইন্টার্নদের উপর চাপিয়ে দিয়ে ছয় ইন্টার্নের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করে কর্তৃপক্ষ। যা প্রহসন। অভিযুক্ত চিকিৎসক শুধু নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক নয় রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এমন আচরণ করেন। যা লিখিত আকারে দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, ছয়জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জারিকৃত আদেশ প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত গাইনী ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে।
যদিও এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে কক্সবাজার হাসপাতালে রোগিদের চিকিৎসা সেবায় ব্যাহত হচ্ছে।