ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়েভে পা রেখেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রুশ-ইউক্রেনের সংকটে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন তিনি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ন্যাটো নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে যান আরেক ন্যাটো সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেন ও রাশিয়া—দুই দেশেই স্বার্থ রয়েছে তুরস্কের। যে কারণে পূর্ব ইউরোপে চলমান সংকটে মধ্যস্থতার ভূমিকা রাখতে যাচ্ছেন এরদোগান। বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক সংকটে মস্কোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তুর্কিরা। ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রেতা দেশগুলোরও একটি তুরস্ক।
এদিকে পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অতিরিক্ত প্রায় তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলার হুমকি দিচ্ছে, তখন পূর্ব ইউরোপের দুই ন্যাটো মিত্র দুই দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতি জোরদার করতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্তে ইতিমধ্যে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে কোনো ধরনের হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
কিন্তু নিজেদের দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যার মধ্যে কিয়েভকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত না করতে যদি প্রতিশ্রুতি রাখা না হয়, তবে পদক্ষেপ নিতে পারে রাশিয়া।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনার ফোর্ট ব্র্যাগ সামরিক ঘাঁটি থেকে দুই হাজার সেনা পাঠানো হবে পোল্যান্ড ও জার্মানিতে। তাছাড়া জার্মানিতে থাকা আরও এক হাজার সেনা যাবে রোমানিয়ায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে যুদ্ধে নামতে রাশিয়াকে প্রলুব্ধ করছে বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিযোগের পরপরই ইউরোপে মার্কিন সেনা বাড়ানোর এই ঘোষণা এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেসব সেনা মোতায়েন করছে, তারা ইউক্রেইনে যুদ্ধ করবে না, বরং মার্কিন মিত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে বুধবার জানিয়েছেন পেণ্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।
ফোর্ট ব্র্যাগ ঘাঁটি থেকে দুই হাজার সেনার মধ্যে ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের এক হাজার ৭০০ সদস্যকে পাঠানো হবে পোল্যান্ডে এবং ৩০০ সেনাসদস্যকে পাঠানো হবে জার্মানিতে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আসছে দিনগুলোতে এসব সেনা মোতায়েন করা হবে। এছাড়া গত সপ্তাহে আরও সাড়ে আট হাজার সেনাকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছিল।