সাদা ঘোড়ায় চেপে বনজঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চারপাশে ধবধবে পাহাড়। সম্প্রতি কিমের অর্থনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতা প্রকাশে এমন একটি ভিডিও ছাড়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা কবলিত দেশটি সম্প্রতি দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাটিও হয়েছে গেল মাসে।
এছাড়া উত্তর কোরিয়া আরও দূরপাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে সরকারসমর্থিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে এসব কিছুকে উড়িয়ে দেখানো হয়েছে, কিম জং উন দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছেন।
বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের গবেষক রাচেল মিনইয়ং লি বলেন, জনগণের জন্য কিম কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রামাণ্যচিত্রটিতে এ দিকটিতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, কিম ঘোড়ায় চড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। যা তার রাজকীয় পরিবারের শাসনের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাচেল মিনইয়ং লি বলেন, ঘোড়ায় চড়ার দৃশ্য নিয়ে আমাদের খুব বেশি ভাবা ঠিক হবে না। এর সঙ্গে দেশটির দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর দেশের সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক করতেই বেশি জোর দিচ্ছেন কিম জং উন। যদিও দেশটিতে খাদ্যমূলে বেড়ে আকাশছোঁয়া। অনাহারি মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
ভিডিওতে কিমকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখা গেছে। তখন ভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে গিয়ে তার শারীর কীভাবে শুকিয়ে গেছে।
ইউনিভার্সিটি অব নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ইয়াং মু-জিন বলেন, ভিডিওতে কিমকে মানবিক হিসেবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা তাকে এমন একজন নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, যিনি তার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসেন। মানুষের জন্য অত্যধিক পরিশ্রম করতে গিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।