সামরিক জোট ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে এবার রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীন। মার্কিন চাপের মুখে পড়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে।
বেশ কয়েকটি ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য দেখাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে বেইজিং ও মস্কো। শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনীতে অংশ নিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চীন সফরে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়াকে হেয় করতে ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটকে ব্যবহার করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছে। প্রতিবেশী দেশে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেও ইউক্রেন সীমান্তে বর্তমানে এক লাখ রুশ সেনা অবস্থান করছে।
ইউক্রেনকে ন্যাটোয় যুক্ত হতে বাধা দিতে চাচ্ছে রাশিয়া। তবে যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেনের কথা উল্লেখ না করেই বলা হয়েছে, শীতলযুদ্ধের মানসিকতায় সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো।
মহামারি শুরু হওয়ার পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রথম কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবৃতি জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের কোনো সীমা নেই। দুদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো বারণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অকাস চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন-রাশিয়া। বেইজিংয়ের ‘এক চীনা’ নীতির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে ন্যাটো জোটের দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধে রাশিয়াকে জোরালোভাবে সমর্থন করছে চীন। যদিও আল-জাজিরার সংবাদদাতা ক্যাটরিনা ইউয়ের মতে, এর অর্থ এ নয় যে, ইউক্রেনে সম্ভাব্য যেকোনো হামলায় রাশিয়াকে স্বাগত জানাবে চীন। কিয়েভের সঙ্গে বেইজিং সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে। চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার ও দেশটির বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পক্ষে ইউক্রেন।
এই সাংবাদিক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দুই নেতাই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান তিক্ত সম্পর্কের অভিজ্ঞতা রয়েছে দুজনেরই।
ক্যাটরিনা ইউ বলেন, চীন ইঙ্গিত দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, সে ক্ষেত্রে মস্কোকে অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন জোগাবে তারা।