বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার নয়াপল্টনে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জোটের কয়েকজন নেতা অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত এই বৈঠকে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নিলে তাতে ২০ দলের সমর্থন থাকবে কি না, সে সম্পর্কে শরিকদের মনোভাব জানতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শাহাদাত হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খন্দকার লুৎফুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) আবু তাহের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের এহসানুল হুদা, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর দাবি, এটি আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক ছিল না। এ কারণে তিনি মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, সরকারবিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের সম্ভাব্য যে মতবিনিময় শুরু হওয়ার কথা তার আগেই গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে জোটের নেতাদের বৈঠক আগ্রহ বাড়িয়েছে। যদিও দলের কেন্দ্রীয় কোনো নেতাই সভার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বৈঠকের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার জন্য নির্দেশনা থাকায় কেউ নাম উদ্ধৃত হয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি যা বুঝেছি তা হচ্ছে, বিএনপি একটি বৃহত্তর ঐক্যের জন্য কাজ শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে জামায়াতকে প্রতিবন্ধক মনে করছে কেউ কেউ। বিএনপি এ প্রতিবন্ধকতা টপকানোর কৌশল খুঁজছে। ঐক্যের স্বার্থে তারা কোনো পদক্ষেপ নিলে ২০-দলের শরিকেরা যেন একমত থাকে।’
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। বৃহত্তর ঐক্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে মহাসচিবসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়। তারই অংশ হিসেবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০ দলের ৯টি শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।