অনবরত গালিগালাজ শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাহবুব কবীর মিলন। আর তাই প্রতিষ্ঠানটির পদ থেকে সরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি এমন কথাই জানিয়েছেন।
পোস্টটিতে দায়িত্ব নিয়ে নিজের দায়িত্বে নিষ্ঠাবান ও অটল থেকেও সবার কাছ থেকে সমালোচনার নিন্দা জানান তিনি। লিখেছেন, “তিনি কোম্পানির টাকায় এক কাপ চা’ও খাননি, খাবেনও না। বিনা পারিশ্রমিকে নিজের গাড়ি, তেল মবিল পুড়িয়ে অফিস করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি একা এই অফিস ঝাড়ু দিয়েছি। ২০/২৫ দিন শুধুমাত্র একা অফিস করেছি। ২য় কেউ ছিল না। বাসায় গিয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ করেছি গত দুই মাস ধরে। অনেক কিছুই গুছিয়ে এনেছিলাম। আহা! আমাকে করা গালাগালির ভাষাগুলো দেখছি আর চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার আর কোনো অপশন নেই।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খোলা নিলামের মাধ্যমে গাড়ি বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দেয় ইভ্যালি। এতে প্রতিষ্ঠানটির বিলাস বহুল রেঞ্জ রোভারসহ সাতটি গাড়ির সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয় ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
তবে ইভ্যালির গাড়ি নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান গ্রাহক ও মার্চেন্টরা। গাড়ি নিলামে বিক্রির বিজ্ঞাপনের প্রতিবাদে হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির পদত্যাগ চেয়ে পোস্ট দেন অনেকে।
পোস্টের কমেন্টে অনেকেই চেয়ারম্যান ও এমডিকে গালাগালি করে। বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন রাতেই স্ট্যাটাস দেন।
গাড়ি বিক্রির বিষয়ে মাহবুব কবীর মিলন গণমাধ্যমকে জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিলাম হচ্ছে। আজ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। বিক্রির অর্থ অফিস পরিচালনাসহ যাবতীয় কাজে ব্যয় করা হবে।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার ও পাওনাদারদের অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীরকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় তিনি বিশেষভাবে পরিচিত।