সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের হামলার মুখে নিহত সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরায়েশি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তার আত্মঘাতী বোমার আঘাতে মারা যান তার পরিবারের সদস্যরাও।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাইডেন জানান, রাতের আঁধারে মার্কিন বাহিনী যখন আতমেহ শহরে কুরায়েশির গোপন আস্তানা ঘিরে ফেলছিল, তখন আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন তিনি।
বোমার আঘাতে কুরায়েশির সাথে মারা যান তার দুই স্ত্রী ও দুই শিশুসহ তার সহযোগী ও সহযোগীর স্ত্রী।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই বোমার আঘাত এতই শক্তিশালী ছিল যে তিনতলা ভবন থেকে মৃতদেহ উড়ে গিয়ে আশেপাশের রাস্তায় পড়ে।
এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য আইএসকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরীহ এক পরিবারকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে ওই ভবনে বাস করে আসছিলেন কুরায়েশি। এ কারণে এই অভিযান পরিকল্পনা করা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এ অভিযানে ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন তা এখনও প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল-কুরায়েশি।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে আইএস-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন কুরায়েশি। ২০১৪ সালে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি গোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য তাকে দায়ী করা হয়।